আমি দেখেছি 

  শাহীন হাজারী 

আমি দেখেছি তীব্র ভালোবাসার হাতটিও

মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে,

অনাহারে অবহেলায় গোচালো মানুষ টিও ঝরে যেতে।

দেখেছি অনাত্মীয়ের গম্ভীরতা 

আত্মীয়ের তীব্র উদাসীনতা।

দেখেছি সাজানো গোচানো সংসার 

ঠুংকো কারনে ঝরে যেতে।

দেখেছি রক্তের সাথে রক্তের তীব্র দাঙ্গা 

আপনের সাথে আপনের প্রাচীর, 

ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছে করে এখনই চৌচির।


দেখেছি মধ্যরাতে কাকার গুনগুনিয়ে গলার সুর, 

মরণব্যাধি প্যারালাইজড এ বিছানায় শুয়ে থাকার তীব্র চাহনি, 

ফিরে যেতে চাই পূর্বের সেই জীবনে ই।

এখন আর গুনগুনানোর সুর শুনা যায় না। 


আবার দেখেছি টগবগে যুবকের উদ্ভূত আচরণ,

হানাহানির কোলাহলে নিজেকে প্রকাশ করতে চায় সাদরে,

তারি পাশে বৃদ্ধ হেটে যেতে করুণ চাহনি তে!

দেখেছি নির্মমতা, দেখেছি ভালোবাসা, 

দেখেছি ক্ষুধার্তের আহার মিটানোর তীব্র আশা।

দেখেছি ঋণগ্রস্ত নাবিকের সেই চাহনি, 

বিনাচিকিৎসায় ঢুকে মরার তীব্র আকুতি। 

দেখেছি সৌন্দর্যের তীব্র প্রতিযোগিতা 

হঠাৎ করে প্রিয় মানুষ  বদলে যাওয়ার বিপরীত চেহারা টা।

দেখেছি গগণচুম্বী আকাশ,

তার নিচে বেকার যুবকের দীর্ঘ শ্বাস।


দেখেছি বৃদ্ধের কোলে অনাহারে শুয়ে থাকতে প্রিয়তমা কে,

আবার দেখেছি চাকচিক্যের দেওয়ালে ডিভোর্স হয়ে যেতে।

দেখেছি অনিবার্য মৃত্যু কে ভুলে

প্রতিযোগিতার কোলে

কেবল সংগ্রহ ই করতে।

Post a Comment

Previous Post Next Post